নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরে অটোটেম্পো মালিকদের পক্ষ থেকে চসিক চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।জনস্বার্থে স্মারকলিপিটি হুবহু প্রকাশ করা হলো। উল্লেখ্য যে, মাক্সিমা অটোটেম্পোগুলোর বিক্রয় উৎসব উদ্ভোধন করেন সিটি মেয়র আ,জ,ম নাছির উদ্দিন।
তারিখ: ১০/০৫/২০১৮ইং
বরাবরে,
মাননীয় মেয়র মহোদয় পড়ুন : জনগনের কথা ভাবার কেউ নেই!
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন
চট্টগ্রাম।
বিষয়: চট্টগ্রাম মাহনগরে চলাচলের নিমিত্তে বৈধভাবে আমদানিকৃত ও সরকার কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত, ট্যাক্সটোকেন, ফিটনেস, অগ্রীম আয়কর, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, ইন্সুরেন্স এবং রুট পারমিট ফি পরিশোধের পর “রুট পারমিট” প্রদানে গড়িমসি ও বিলম্বের প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে হস্তক্ষেপ কামনা করে অসহায় অটোটেম্পো মালিকদের আকুল আবেদন ।
জনাব,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা নিন্মস্বাক্ষকারীগন চট্টগ্রাম মহানগরে বসবাসরত বাংলাদেশের সাধারন সুনাগরিক হই। দেশের আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেদের কর্মসংস্থান, দৈনন্দিন রুটি-রুজি নিশ্চিত করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে পরিবহন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান উত্তরা মোটরর্স ও র্যাংগস মোটরর্স কর্তৃক আমদানিকৃত মাক্সিমা অটোটেম্পো ক্রয় করে পরিবহন ব্যবসায় নিয়োজিত হই।
মাননীয় মহোদয়, গাড়ী ক্রয় করার পর সরকারের নির্ধারিত নিয়মকানুন মানিয়া চট্টগ্রাম বিআরটিএ কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন ফি, ট্যাক্স টোকেন ফি, অগ্রীম আয়কর, ফিটনেস ফি, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ফি, ইন্সুরেন্স ফি এবং রুট পারমিট ফি পরিশোধ পূর্বক রুট পারমিট পাওয়ার জন্য বিআরটিএ বরাবরে আবেদন করি। ইতিমধ্যে কিছু সংখ্যক অটোটেম্পোর রুট পারমিট প্রদানও করা হয়েছে এবং বাকী রুট পারমিট প্রদানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছিলো। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে রুট পারমিট প্রদান প্রক্রিয়া একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়। রট পারমিট প্রদানে চট্টগ্রাম মহানগরে কতিপয় সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আরটিসি( রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি) কর্তৃক রুট প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। আরটিসি’র সদস্য সচিব হিসাবে উপ-পরিচালক, বিআরটিএ এবং সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরের মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয় দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
মাননীয় মহোদয়, রুট পারমিট প্রদান প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগরের আরটিসি অনুমোদিত নির্ধারিত ১৭টি রুটের শ্রমিক সংগঠনের বিবদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমে স্থানীয় পর্যায়ে থানায় মামলা হয় এবং প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলার এক পর্যায়ে শ্রমিক সংগঠনের একটি পক্ষ আদালতে একাধিক মামলা করেন। প্রথমে বিভিন্ন রুটের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় রুট পারমিট বিহীন গাড়ী চলাচলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করে এবং সর্বশেষ রুট পারমিট বন্ধে মামলা করে ০৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত ০৯/০৫/২০১৮ইং হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার উপর মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৩১ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ প্রদান করেন (কপি সংযুক্ত-৪ অনুসারে)। একটি পক্ষ শুধু মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং নিরীহ মালিকদের নিটক থেকে রুট পারমিট অনুমোদন করে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার নানামুখী অতৎপরতায় লিপ্ত আছেন।
মাননীয় মহোদয়, আমরা পরিবহন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে কোন অপরাধ করিনি। এ দেশের এক একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে জীবন-ধারনের নিশ্চয়তা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যা আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে লাভ করেছি। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবতার নেত্রী সাধারন মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য, দরিদ্র জনগনের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সাধারন মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন আজ শুধু মুখের কথা নয়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বেও প্রমানিত। কিন্তু এই দেশে আমাদের কষ্টের টাকার বিনিয়োগ আজ কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীর চক্রান্তে থমকে দাড়িয়েছে। অনেকেই বৃদ্ধ মা-বাবা, ভাই-বোন, ছেলে-সন্তানদের নিয়ে নিদারুন অর্থ কষ্টে আছেন। আমাদেও মধ্যে এমন কিছু মালিক আছেন যাঁদের জীবনের শেষ অবলম্বন একমাত্র গাড়ীখানা। এমন কিছু মালিক আছেন যাঁরা চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে অটোটেম্পোর আয় দিয়ে সংসার চালান। এমন কিছুু বিধবা মহিলা আছেন, যার পরিবারে বিবাহযোগ্যা একাধিক কন্যা সন্তান রয়েছেন। অটোটেম্পো মালিকরা আজ অসহায়, গত দু’মাস থেকে প্রত্যেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ঘর ভাড়া, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার খরচ বহন করতে পারছেন না। অসহায় মালিকদের কষ্টে চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে আসছে। অধিকাংশ মালিক ব্যাংকের কিস্তির টাকায় গাড়ী কিনেছেন। রুট পারমিট নাই, গাড়ী রাস্তায় চলাতে পারছেন না।
মাননীয় মেয়র মহোদয়, এই অটোটেম্পোর সাথে শুধু অসহায় মালিকরাই জড়িত নয়। গাড়ীগুলোর সাথে জড়িয়ে আছেন সহস্রাধিক শ্রমিক। প্রত্যেকই আজ বেকার। কারো পরিবারে অসুস্থ সন্তান আছে কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কারো স্ত্রী সন্তান সম্ভবা কিন্তু দু’বেলা দু’মুঠো ভাল-মন্দ খাওয়াতে পারছেন না। ছিন্নমুল এই সাধারন অসহায় মানুষগুলোকে জিম্মি করে এটা কোন শ্রমিক রাজনীতি!
মাননীয় মেয়র মহোদয়, অটোটেম্পো গাড়ীগুলো ক্রয়ের পর চট্টগ্রাম মহানগরে রেজি: নাম্বার দেয়া হয়েছে, ফিটনেস দেয়া হয়েছে, ট্যাক্স টোকেন দেয়া হয়েছে। মালিকরা ইন্সুরেন্স করিয়েছেন, অগ্রীম আয়কর পরিশোধ করেছেন, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ফি দিয়েছেন এবং সর্বোপরি রুট পারমিট ফি জমা দিয়ে আবেদন করেছেন। সব মিলিয়ে গাড়ী প্রতি সরকারি কোষাগারে মালিকরা কর বাবদ জমা দিয়েছেন প্রায় ১৪৮০০/- (চৌদ্দ হাজার আটশত টাকা) মাত্র। গাড়ীগুলো আমদানি করতে সরকার আদায় করেছে আমদানি শুল্ক। রুট পারমিট প্রদান করা হয়েছে কিছু গাড়ীর, হচ্ছিল এবং চলমান প্রক্রিয়াধীন ছিলো। সব মালিকরাই রুট পারমিট পেতো। কিন্তু শুধুমাত্র কিছু চক্রান্তকারী ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে অশুভ তৎপরতা চালাচ্ছেন। এই বিপথগামী দুষ্টু প্রকুতির মানুষগুলো বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে আজ প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে চায়। কারন সাধারন জনগনের উপকারে না আসলে এই নেতৃত্ব কার জন্য?
মাননীয় মেয়র মহোদয়, আপনি চট্টগ্রাম মহানগরীর অভিভাবক। সাধারন জনগনের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয় স্থল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত অনুসারী। আপনার বরাবরে অসহায় অটোটেম্পো মালিকদের আকুল আবেদন মানবিক কারনে সাধারন মানুষের রুটি-রুজির নিশ্চয়তা বিধানে “রুট পারমিট” প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি কর্মকর্তা এবং বিবদমান শ্রমিক সংগঠনের উপস্থিতি ও সমন্বয়ে মালিকদের পক্ষে রুট পারমিট পাওয়ার বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত তরিৎ হস্তক্ষেপ গ্রহনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একান্ত নেক মর্জি কামনা করছি।
চট্টগ্রাম মহানগরে বসবাসরত ও পরিবহন ব্যবসায় নিয়োজিত
অটোটেম্পো মালিকদের পক্ষে
স্বাক্ষরিত
১। কাজী আলতাফ হোসেন
অটোটেম্পো মালিক ও সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, আকবরশাহ থানা, চট্টগ্রাম।
মোবাইল: ০১৮১৯৮৫০৫৫৩
২। মো: আবুল হোসেন মজুমদার
অটোটেম্পো মালিক ও উপদেষ্টা, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ(রেজিনং বি-১৯০২), চট্টগ্রাম মহানগর, মোবাইল ০১৭২০৬২৩৯৭৮
৩। মো: আব্দুল ওহাব, সভাপতি, চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি(রেজি নং ১৪২৬) মোবাইল ০১৭১২২০৮৬৭০
৪। মো: আব্দুল মন্নান, সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি(রেজি নং ১৪২৬) মোবাইল ০১৮১৬২৯৪৩০১
৫। মো: ইব্রাহিম, সাধারন সম্পাদক, চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি(রেজি নং ১৪২৬) মোবাইল ০১৮১৮ ৬৩৩ ২০৪
৬। মো: ইমাম উদ্দিন ইমন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি(রেজি নং ১৪২৬) মোবাইল ০১৮১৮১৪৯৮৫২
৭। মো: হামিদুর রহমান, নির্বাহী সদস্য, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম মহানগর, মোবাইল ০১৭৫১৭৪৪১৩০
৮। আলহাজ্ব কেএম ফারুক, সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর মাক্সিমা অটোটেম্পো মালিক সমিতি, চৌমুহানী, চট্টগ্রাম, মোবাইল ০১৭১২ ২১৫৬৮৭৯।
৯। মো: সেলিম, নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর মাক্সিমা অটোটেম্পো মালিক সমিতি, চৌমুহানী, চট্টগ্রাম। মোবাইল ০১৭৬৮ ৮৬৬ ৮৯০
১০। মো: মনির কোম্পানী, উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম মহানগর মাক্সিমা অটোটেম্পো মালিক সমিতি, চৌমুহানী, চট্টগ্রাম। মোবাইল ০১৮৩১ ৪৩৪৫৮১
সংযুক্ত :
১। মাননীয় মেয়র মহোদয়ের বরাবরে অটোটেম্পো
মালিকদের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা ০১ সেট
২। বিআরটিএ বরাবরে রুট পারমিটের আবেদন
ও টাকা জমাদানের রশিদ ০১ কপি
৩। রুট পারমিট প্রদান করা হয়েছে প্রমানপত্র ০১ কপি
৪। মহামান্য হাইকোর্টের আপিল ডিভিশন কর্তৃক নজরুল ইসলাম খোকন মামলা নং-১০৬৭/২০১৮ আদেশের উপর স্থগিতাদেশ- ০১ কপি।
৫। মহামান্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায় সম্পর্কিত উকিল মতামত-০১ কপি।
সদয় অবগতির জন্য অনুলিপি:
১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা।
২। মাননীয় স্পীকার, জাতীয় সংসদ, সংসদ সচিবালয়, ঢাকা।
৩। মাননীয় মন্ত্রী, সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৪। মাননীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৫। মাননীয় সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম———————————————-।
৬। মাননীয় আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা।
৭। মাননীয় চেয়ারম্যান, বিআরটিএ, ঢাকা।
৮। বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বিভাগ।
৯। জেলা প্রসাশক, চট্টগ্রাম।
১০। পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশ, চট্টগ্রাম।
১১। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক), চট্টগ্রাম।
১২। উপ-পরিচালক, বিআরটিএ, চট্টগ্রাম সার্কেল।
১৩। উপ-পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক), উত্তর ও বন্দর, চট্টগ্রাম।
১৪। সম্পাদক, দৈনিক—————————————————–।
১৫। ব্যুরো চীফ,———————————————————–।
১৬। সভাপতি/সাধারন সম্পাদক,——————————————-।